প্রধান শিক্ষকের বাণী
শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড এবং উন্নয়নের পূর্বশর্ত। এ শিক্ষা একজন শিক্ষার্থীকে জীবনের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করে। মানব জীবনে প্রতিভা ও শ্রম দুটো গুণেরই প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু শ্রম-সাধনা ছাড়া প্রতিভাবানদের জ্ঞান-বুদ্ধি, চিন্তা-ভাবনা, আশা-আকাংখা কোন কিছুই পূরণ হতে পারে না। ছাত্রজীবন বা বাল্যকাল হল পরিশ্রমের সময়। নিয়মের অধীন না হলে জ্ঞান সাধনা হবে পন্ডশ্রম। তাই শিক্ষার্থীদের মূখ্য উদ্দেশ্য কাজ ও পড়াশোনায় সফলকাম হওয়া। এজন্য নিশ্চয়ই পরিকল্পনামাফিক অগ্রসর হতে হবে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষাকে সময়োপযোগী করার প্রয়াসে ২০১৩ শিক্ষাবর্ষ হতে পাঠ্যক্রমে যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধন করেছে। মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধের ভিত্তিতে দেশপ্রেম বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি, নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ বিকাশের উপর গুরুত্ব প্রদান, অনুসন্ধিৎসা, সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী ক্ষমতা বৃদ্ধির সুযোগ প্রদান, বিজ্ঞানমনষ্ক ও কর্মমূখী করার উপর গুরুত্ব আরোপ, প্রয়োগমূখী শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি, জীবনদক্ষতা অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি, সব ধরণের বৈষম্য অবসানের লক্ষ্যে মানবাধিকারের উপর গুরত্ব প্রদান, বিশ্বায়নের চাহিদা অনুসারে মানবসম্পদ সৃষ্টির উপর গুরুত্ব প্রদান পরিবর্তিত শিক্ষাক্রমের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
অভিভাবকগণ তাদের সন্তানদের পাঠগ্রহণ, মেধার বিকাশ, শিখনে আগ্রহ, সততা ও মূল্যবোধ, ন্যায়-পরায়ণতা, দেশপ্রেম ইত্যাদি মূল্যায়নে প্রয়োজনীয় উপদেশ ও নির্দেশনা দিয়ে সহযোগীর ভূমিকা পালনে সক্ষম হবেন বলে আমার বিশ্বাস। আমি শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ ও অভিভাবকগণের মধ্যে সু-সম্পর্ক বজায় থাকুক এটাই কামনা করছে। বহমান নদীর মতো বিদ্যালয় সত্যিকার মানুষ তৈরির ধারা অব্যাহত রাখবে এই প্রত্যাশা করছি।
এ.কে.এম. ফজলুর রহমান
প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত)
নবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
চাঁপাইনবাবগঞ্জ।